লজ্জা

লুবনার গালে এখন আর কোন স্পষ্ট ছাপ নেই, তবু মনের কোথায় যেন এক চিলতে জমিতে হালে চষা মাটির ওপর মাটির দাগের মতই দাগ বসে গেছে। তিন বছরের বিবাহিত জীবনে গত ন’মাসেই ওর মনের আপন ভূবনটা চষা হয়ে গেছে পুরোপুরি। এই ক’মাসে ওদের একটা সুন্দন সন্তান হতেও পারতো। লুবনা হাসে। এক রাতে সন্তানের এই আগ্রহের জন্যই মাতাল কায়েশ স্ত্রী লুবনার গালে প্রথম .....
আজকাল আর বিশেষ কোন প্রসঙ্গের প্রয়োজন হয় না। যে কোন প্রসঙ্গেই কায়েশ লুবনার গায়ে হাত তুলতে দিদ্ধা করে না। লুবনা আজকাল কাঁদতেও ভূলে গেছে। বা বলা যায় কাঁদতে  বিরক্ত লাগে আজকাল। বরং গালে সামান্য পাফ করে, বগলে ডিওড্রেন্ট স্প্রে করে চলে আসে হাতের কাছের কফি পার্লারে। মনে মনে কত কী ভাবে। আজ ভাবছিল ময়নার মায়ের কথা্ ওরাই বেশ ভাল আছে। নারীদের সমানাধিকারের লড়াইটা ওরাই বেশ একা লটছে। বস্তিতে থাকে, নিজে নিজের আয় রোজগার করে নেয় । স্বামী দুটো মারলে সেও দুটো মারে।
কফি পার্লারে ওপাশে একটা সুশ্রী যুবক ওর দিকে ওকে তরিয়ে তরিয়ে চোখে চোখে গিলছে। এতেও এক ধরনের শুখ মনে কিলিবিলি কাটে। ময়নার মত যুবতীরা আর ওর মায়েরা কখনো এমন সুখের সাধ পায় না। নাকী পায়।

Comments